নাগরদোলা চরার খুব ইচ্ছা ছিল ছোটো থেকে । আমাদের রাসমেলার কথা কম বেশি সকলেরই জানা । আমার বয়স ৩-৪ বছর হবে । তবুও স্পষ্ট মনে আছে , বাবা মার সাথে রাসমেলা ঘুরতে গেছিলাম । সেবার নাগরদোলা চরার ইচ্ছা টানা টানির সংসারে রক্ষা হয় নি ।
তারপর বাবা মা দুজনেরি চাকরি হয়ে গেলেও যতবার মেলায় ঘুরতে গিয়েছি সার্কাস টারকাস দেখা হলেও কোনও না কোনও কারনে নাগরদোলায় চরা টা আমার হয় নি , হয়তো তাদের নাগরদোলায় চরা টা যুক্তি যুক্ত মনে হতো না ।
তারপর যখন বড় হলাম , একা একা মেলা ঘুরতে যাই , তখন নাগরদোলার উচ্চতা দেখে ভীষণ ভয় লাগতো , হয়তো কোনও দিনও না ওঠার জন্য । একা একা দুটো মেলা পার করতেই একজন এসেছিল আমার জীবনে ।
সেবার তার হাত ধরে উঠে বসেছিলাম সবচেয় ছোটো নাগরদোলা টাতে । মানুষ নাগরদোলায় বসে কতো না রোমান্স টোমান্স করে ।। কিন্তু আমি তার হাত দুটো শক্ত করে ধরে দাতে দাত চেপে চোখ বন্ধ করে বসেছিলাম সময় টুকু পার হওয়ার অপেক্ষায় ।
প্রথমবার যখন নাগরদোলা টা নিচে নামল , তখন আমার প্রান বের হয়ে যাওয়ার দোরগোড়ায় । সে হাসছিল । কিন্তু আমার চোখে জল এসে পরতেই তার হাসি কোথায় যেন উরে গেলো , আর আমাকে আরও শক্ত করে ধরে সে কি সব যেন বোঝাতে লাগলো ।
বিপদ টা হল তিন নম্বর চক্রের সময় । নাগরদোলার গতি চরমে। আমি সিট ছেরে ছুরে নিচে বসে পরেছি । সে আমাকে জরিয়ে ধরে বলেছিল , " কোনও ভয় নেই , আমি তো পাশে আছি । চোখ খোল " ।
আমার ভয় কেটে গেলো । চোখ খুলে সব কিছু দেখে একটা উত্তেজনা অনুভব করেছিলাম । তারপর আবার আমাদের দুজনের যার যার সিটে বসে যাওয়ার পালা । আমি বাকি সময়টা শুধু তার চোখের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিয়েছিলাম ।
সেই নিয়ে দুই বছর মনের আনন্দে নাগরদোলা চরা হয়েছিল আমার । জীবনের সেরা দুই বছর । এখন আমি আর নাগরদোলা চরতে ভয় পাই না । ভয় পাই পুরনো কথা গুলো মনে পরে যাওয়ার ।
তারপর বাবা মা দুজনেরি চাকরি হয়ে গেলেও যতবার মেলায় ঘুরতে গিয়েছি সার্কাস টারকাস দেখা হলেও কোনও না কোনও কারনে নাগরদোলায় চরা টা আমার হয় নি , হয়তো তাদের নাগরদোলায় চরা টা যুক্তি যুক্ত মনে হতো না ।
তারপর যখন বড় হলাম , একা একা মেলা ঘুরতে যাই , তখন নাগরদোলার উচ্চতা দেখে ভীষণ ভয় লাগতো , হয়তো কোনও দিনও না ওঠার জন্য । একা একা দুটো মেলা পার করতেই একজন এসেছিল আমার জীবনে ।
সেবার তার হাত ধরে উঠে বসেছিলাম সবচেয় ছোটো নাগরদোলা টাতে । মানুষ নাগরদোলায় বসে কতো না রোমান্স টোমান্স করে ।। কিন্তু আমি তার হাত দুটো শক্ত করে ধরে দাতে দাত চেপে চোখ বন্ধ করে বসেছিলাম সময় টুকু পার হওয়ার অপেক্ষায় ।
প্রথমবার যখন নাগরদোলা টা নিচে নামল , তখন আমার প্রান বের হয়ে যাওয়ার দোরগোড়ায় । সে হাসছিল । কিন্তু আমার চোখে জল এসে পরতেই তার হাসি কোথায় যেন উরে গেলো , আর আমাকে আরও শক্ত করে ধরে সে কি সব যেন বোঝাতে লাগলো ।
বিপদ টা হল তিন নম্বর চক্রের সময় । নাগরদোলার গতি চরমে। আমি সিট ছেরে ছুরে নিচে বসে পরেছি । সে আমাকে জরিয়ে ধরে বলেছিল , " কোনও ভয় নেই , আমি তো পাশে আছি । চোখ খোল " ।
আমার ভয় কেটে গেলো । চোখ খুলে সব কিছু দেখে একটা উত্তেজনা অনুভব করেছিলাম । তারপর আবার আমাদের দুজনের যার যার সিটে বসে যাওয়ার পালা । আমি বাকি সময়টা শুধু তার চোখের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিয়েছিলাম ।
সেই নিয়ে দুই বছর মনের আনন্দে নাগরদোলা চরা হয়েছিল আমার । জীবনের সেরা দুই বছর । এখন আমি আর নাগরদোলা চরতে ভয় পাই না । ভয় পাই পুরনো কথা গুলো মনে পরে যাওয়ার ।
0 comments:
Post a Comment