Kousik Das October 2013 ~ Kousik's Diary

Friday 11 October 2013

ISO settings , ফটোগ্রাফি সেটিংস , অ্যাপারেচার , আই এস ও ।

ISO মানে খুব সম্ভবত ক্যামেরার ইমেজ সেন্সারের আলোক সংবেদনশীলতা কে বোজায় , আর অ্যাপারেচার বলতে ক্যামেরা শাটারের ছিদ্রের মাপ । 

এই দুই সেটিং ক্যামেরার সেন্সরে লেন্স মারফত আশা আলোকের প্রবেশ মাত্রা কে নিয়ন্ত্রিত করে । 

প্রফেশনাল কামেরায় সেন্স দ্বারা কেন্দ্রীভূত আলো শাটার / আলোক ছিদ্রের মধ্যে দিয়ে সেন্সরে পড়ে , সেন্সর তাকে ডিজিটাল সিগ্নালে রূপান্তরিত করার মতো জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে । সাধারন মোবাইল ক্যামেরার সাথে তুলনা করলে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে না । 

এখন ব্যাপার টা পরিস্কার , ও খুব সাধারন । আপনার ক্যামেরার আলোক সংবেদন শীলতা এবং টার্গেট অবজেক্টের আলোর ওপর ভিত্তি করে আপনাকে অপরিউক্ত সেটিং গুলি নির্ধারণ করতে হবে । 

উদাহারন হিসাবে , ১ > আপনার ক্যামেরা খুব বেশি আলোক সংবেদক নয় , আলো ভালো নেই ( লো লাইট কন্ডিশন ) এই ক্ষেত্রে আপনার দরকার যেন বেশি আলো সেন্সরে পোড়তে পারে । যত বেশি আলো , তত পরিস্কার ছবি । সমস্যা হল , আই এস ও বারালে শাটার স্পিড বাড়ে , এতে আলো প্রবেশের জন্য কম সময় পায় । মুভিং অবজেক্টের ক্ষেত্রে এটা সুবিধা জনক , কিন্তু স্থির অবজেক্ট এর জন্য এটার ফলে নয়েস বেড়ে যায় । এই অসুবিধা দূর করতে ম্যানুয়ালি শাটার স্পীড নির্ধারণ করতে হয় । 
আবার অ্যাপারেচার বারালে ( ইনভারস ) শাটার ছিদ্র বড় হয় , যার দরুন আলো বেশি প্রবেশ করে । কিন্তু আলো বেশি হলে এটা ছবি জ্বালিয়ে দিতে পারে । আবার কম অ্যাপারেচার ছবি অন্ধকার করে দিতে পারে । 

এই সব সেটিং ক্যামেরা কয়ালিটি ও সেই ক্যামেরার সাথে আপনার এক্সপেরিয়েস এর ওপর বেস করে ভালো বা খারাপ হবে । এক দিনে বই পড়ে সেখা সম্ভব নয় । 

এর থেকে ভালো অটো মোডে ছবি তোলা , এতে সট রেডি করতে টাইম কম লাগে , তাই মিস হওয়ার চান্স কম । ছবি খুব ভালো না হলেও কখনো খুব খারাপ ও আসে না। তাই আমি প্রকৃতির ছবি তোলার সময় ক্যামেরা অটো তে রাখি ।
মানুষের ছবি হলে ম্যানুয়ালি করি । কারন মানুষের পালিয়ে যাওয়ার চান্স কম ।  

আর ফোকাস ফটোগ্রাফির সব থেকে ইম্পরট্যান্ট বিষয় , সেটাও লক্ষ রাখা উচিত 
Read More

Wednesday 9 October 2013

Kanchan Jangha view from North Bengal, Coochbehar , Dewanhat




শরতের সকালে দেওয়ানহাট স্টেশন থেকে ।  
Read More

Birds of north bengal




শরতের সকালে সান্তির দূত । 
Read More

Tuesday 1 October 2013

নাগরদোলা

নাগরদোলা চরার খুব ইচ্ছা ছিল ছোটো থেকে । আমাদের রাসমেলার কথা কম বেশি সকলেরই জানা । আমার বয়স ৩-৪ বছর হবে । তবুও স্পষ্ট মনে আছে , বাবা মার সাথে রাসমেলা ঘুরতে গেছিলাম । সেবার নাগরদোলা চরার ইচ্ছা টানা টানির সংসারে রক্ষা হয় নি । 

তারপর বাবা মা দুজনেরি চাকরি হয়ে গেলেও যতবার মেলায় ঘুরতে গিয়েছি সার্কাস টারকাস দেখা হলেও কোনও না কোনও কারনে নাগরদোলায় চরা টা আমার হয় নি , হয়তো তাদের নাগরদোলায় চরা টা যুক্তি যুক্ত মনে হতো না ।

তারপর যখন বড় হলাম , একা একা মেলা ঘুরতে যাই , তখন নাগরদোলার উচ্চতা দেখে ভীষণ ভয় লাগতো , হয়তো কোনও দিনও না ওঠার জন্য । একা একা দুটো মেলা পার করতেই একজন এসেছিল আমার জীবনে ।

সেবার তার হাত ধরে উঠে বসেছিলাম সবচেয় ছোটো নাগরদোলা টাতে । মানুষ নাগরদোলায় বসে কতো না রোমান্স টোমান্স করে ।। কিন্তু আমি তার হাত দুটো শক্ত করে ধরে দাতে দাত চেপে চোখ বন্ধ করে বসেছিলাম সময় টুকু পার হওয়ার অপেক্ষায় ।

প্রথমবার যখন নাগরদোলা টা নিচে নামল , তখন আমার প্রান বের হয়ে যাওয়ার দোরগোড়ায় । সে হাসছিল । কিন্তু আমার চোখে জল এসে পরতেই তার হাসি কোথায় যেন উরে গেলো , আর আমাকে আরও শক্ত করে ধরে সে কি সব যেন বোঝাতে লাগলো ।

বিপদ টা হল তিন নম্বর চক্রের সময় । নাগরদোলার গতি চরমে। আমি সিট ছেরে ছুরে নিচে বসে পরেছি । সে আমাকে জরিয়ে ধরে বলেছিল , " কোনও ভয় নেই , আমি তো পাশে আছি । চোখ খোল " ।

আমার ভয় কেটে গেলো । চোখ খুলে সব কিছু দেখে একটা উত্তেজনা অনুভব করেছিলাম । তারপর আবার আমাদের দুজনের যার যার সিটে বসে যাওয়ার পালা । আমি বাকি সময়টা শুধু তার চোখের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিয়েছিলাম ।

সেই নিয়ে দুই বছর মনের আনন্দে নাগরদোলা চরা হয়েছিল আমার । জীবনের সেরা দুই বছর । এখন আমি আর নাগরদোলা চরতে ভয় পাই না । ভয় পাই পুরনো কথা গুলো মনে পরে যাওয়ার ।
Read More

গোর্খা ল্যান্ড প্রসঙ্গে



পাহাড়ের মানুষ গুলো চিরদিন "বাহাদুর " এর দায়িত্বই পালন করেছে । ডিটেকটিভ গল্প হোক , ভূতের গল্প হোক , ছোটো বেলায় যাই পড়তাম সব গল্পেই বাংলো বাড়ির পাহারাদার থাকতো বাহাদুর নামের মধ্য বয়েসি লোক । টিভি তে সিনেমা , সিরিয়াল যাই দেখেছি , বাহাদুর মাস্ট । মাথায় একটা ছোটো ভোজালি লাগানো টুপি , পশমের জ্যাকেট ইত্যাদি পোশাক । এমন কি , বিমল গুরুং নিজেও স্বীকার করেছেন , দেশের প্রতিরক্ষা স্বার্থে গোর্খা একটা বড় ফ্যাক্ট । ভারতীও সশস্ত্র বাহিনী তে গোর্খা রেজিমেন্ট নাম করা । 

কিন্তু দেশের আর দশটা জাতীর মানুষেরা কোনও দিন এদের আপন করে নেয় নি । এরা " বাহাদুর " ই থেকে গেছে । বছরের পর বছর , এসেছে - গেছে । রাজা এসেছে লাল জামা গায়ে , রাজা গেছে লাল জামা গায়ে , রাজা এসেছে নীল জামা গায়ে , রাজা গেছে নীল জামা গায়ে গেরুয়া , সাদা, শেষে সবুজ , সবাই কে দেখেছে এরা । সবাই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়েছে । কিন্তু বাংলোর কেয়ার টেকার থেকে মালিক হতে পারেনি । 

বাঙালি , মারয়ারী , গুজরাটি সবাই ওদের দেশে , ওদের মাটিতে গিয়ে ব্যাবসা করেছে , মুনাফা লুটেছে । কেউ রাজনীতি করে ফুলেছে , কেউ ব্যাবসা করে । কিন্তু ওরা " বাহাদুর " ই থেকে গেছে । চোখের সামনে দেখেছে নিজের চোদ্দ পুরুষ কে , " বাহাদুর , ইয়ে কারো , ও কারো " হুকুমের তামিল করতে । পুঁজিবাদ নিজের নিয়মেই তাঁর শোষণ চালিয়ে গেছে । ওরা বঞ্চিত হয়েছে । ক্ষোভ জমেছে , বছরের পর বছর । 

পুঁজিবাদ গর্ভেই বিপ্লব জন্ম নেয় । শোষণ মাত্রা ছারিয়ে গেলে মানুষ রাস্তায় নামেই । এই ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে । শুধু দিশা ভ্রান্ত ভাবে । হয়তো গুরুং শুধু একজন রাজ্য স্তরের নেতা হওয়ার জন্য এতো তর্জন গর্জন করছেন , কিন্তু রাস্তায় নামা মানুষ গুলো , তাদের অধিকারের স্বার্থে রাস্তায় নেমেছে । নেতা হওয়ার জন্য নয় , জাতি কে ভালোবেসে নয় । তারা হয়তো ভেবেছে নিজেদের রাজ্য পেলে তারা নিজেদের অধিকার পাবে , এই আশায় । 

সাম্রাজ্জবাদ , পুঁজিবাদ সর্বদাই এই প্রকার আন্দোলনে মদত দেয় , যেন মানুষ জাতীর ভিত্তিতেই হোক , ধর্মের ভিত্তিতেই হোক , আরও বিভক্ত হয় , নিজেরা নিজেরা লড়াই করে , যুদ্ধ করে। যেন তারা তাদের আসল শত্রু কে চিনতে না পারে । যেন মানুষের মনের ক্ষোভ বের হয় , কিন্তু নিয়ন্ত্রিত ভাবে । অনেকটা সেফটি ভাল্ব থিওরির মতো । আজকে যে আন্দোলন টা জাতীর ভিত্তিতে মনে হচ্ছে , মনে হচ্ছে বাঙ্গালী আর গোর্খা দের লড়াই , সেটা আসলে পুঁজিবাদ আর মানুষের লড়াইএর দিশা ভ্রষ্ট রুপ । 

পাহাড়ের মানুষ গুলো বাঙ্গালী দের থেকে আলাদা হতে চায় না , তারা শুধু নিজেদের অধিকার চায় । বাঙ্গালী রা ওদের বঞ্চিত করেনি , করেছে পুঁজিবাদ । আর যখন ওরা একরাশ ক্ষোভ নিয়ে রাস্তায় নামতে প্রস্তুত , তকন পুঁজিবাদ তাদের দিশা ভ্রান্ত করেছে । 

কি হবে যদি তারা গোর্খা ল্যান্ড পেয়ে যায় ? গুরুং মুখ্যমন্ত্রী হবে , জেলা স্তরের নেতা রা রাজ্য স্তরের নেতা হবে । কিন্তু যারা ওদের বাহাদুর বানিয়ে রেখেছে তারা কি বিতাড়িত হবে গোর্খা ল্যান্ড থেকে ? 
শুধু গোর্খা ল্যান্ড না , বোড়ো ল্যান্ড , গ্রেটার সবার আন্দোলনের কাহিনী একই । ওরা আন্দোলন করবে , মরবে , ভাগ হওয়ার পর ৫০ বছর চুপ থাকবে , কিন্তু বঞ্ছনা কমবে না । আবার পথে নামবে । কিন্তু " বাহাদুর " বাহাদুরই থেকে যাবে ।
Read More

কমিউনিসম ও নাস্তিকতা

১ জন কমিউনিস্ট কে নাস্তিক হতেই হবে । কারন কেউ যদি ঈশ্বরে বিশ্বাস করে , তাকে 
প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাস করতে হবে । আর প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাস করলে তাকে জাতি ও বর্ণ 
বিদ্বেষে বিশ্বাস করতে হবে , আর বিদ্বেষে বিশ্বাস করারি সবচেয় বড়ো সাম্রাজ্যবাদী মনভাব । 
তাই কমিউনিজমের শুরু হয় নাস্তিকতা দিয়েই । তবে একজন নাস্তিক কমিউনিস্ট নাও হতে পারে।

আজকে আমাদের শোষণ করার জন্য যেমন আইন রয়েছে , প্রাচীন কালেও আমাদের শোষণ করার জন্য আইন তৈরি হয়েছিল । সেই আইন ই আজ ধর্মের রুপ নিয়েছে । 

গ্যালিলিও , কোপারনিকাস , ব্রুনোর পর সূর্য আর পৃথিবীর চার পাসে ঘোরে না ,
তাই ঈশ্বরের শক্তিও ক্ষীণ হয়ে এসেছে । অলৌকিক কিছুতে মানুষ সহজে বিশ্বাস করে না । 
তাই " তুই নরকে যা পাপিষ্ঠ " বলেও কাজ হাসিল হয় না । তাই এখন আবার তৈরি হয়েছে নতুন আইন , যেখানে শোষক ই শাসক , আর শাসক ই ভগবান । 

আর যে এই বেবস্থার বিরুদ্ধে লড়তে চায় , এই শোষণের অবসান দেখতে চায় , সেই কমিউনিস্ট ।তাই কমিউনিস্ট দের পুজিবাদের বিরুদ্ধে তো অবশ্যই মৌলবাদের বিরুদ্ধে , অর্থাৎ ভগবানের বিরুদ্ধেও লড়তে হয় ।
Read More

একবার নিচে এসে দেখ

ওহে বুর্জোয়া ,
একবার তোমার মুনাফার গদি ছেরে নিচে এসে দেখ ...
প্রতি টি ইট , কাঠ , পাথরে ,
তুমি শুনতে পাবে শ্রমিকের জয়গান ...
একবার নিচে এসে দেখ ,
কবির প্রতি টি কবিতা বলেছে কাদের কথা ?
তুমি কিনেছ প্রাসাদ , চাবুক ঝরিয়েছ তাদের বুকে ...
তবুও কবির লেখনী সুধু তাদের কথাই লিখে ...
ওহে বুর্জোয়া , তুমি মেরেছ তোপ , চালিয়েছ গুলি ,
বদলায় নি তবু ইতিহাসের বুলি ।
পারছ কি তুমি শুনতে ?
ইতিহাস কেবল বলেছে তাদের কথা ,
জাকে গোলাম বলে তুমি কিনতে ।
একবার সুধু দেখ চেয়ে ,
জারা ক্ষেতে মাঠে ঘাম ঝরায় ,
জারা কাজ করে কারখানায় ,
তারাই গরেছে সভ্যতা ।
আছে কে ? তাদের হার মানায় ?
তোমার তাজমহাল ? আহা , সবাই জানে ...
ওটা শ্রমিকের গড়া ।
হিসবে রাখনি ? ভালো ,
রয়েছে রক্ত লেখা ।
কি ভাবছ ? তোমার হাসি , তোমার খুসি
সব সুবিধায় তোমার কপি রাইট ।
তবু কেন ইতিহাস জুরে সুধু তারা ,
জাড়া জীবনের সাথে করছে ফাইট ?
এখনো বোঝনি ?
তোমার যে উঁচু ইমারত ,
সেটাও ওদেরই কেরামত ।
ওরা না ঝরালে ঘাম , কি করে তুমি চলতে ?
সময় আসছে , ওরা রুখে দারাবে ,
হক এর কথা বলতে ।

একবার নিচে এসে দেখ
কৌশিক দাস
৩/৬/১৩
 
Read More

আনন্দ বাজার পত্রিকা

আনন্দ বাজার পত্রিকা , ভারতের বুর্জোয়া কণ্ঠ গুলোর মদ্ধে একটি , ধর্মঘটের সন্মন্ধে একজন শ্রমিকের বয়ান হিসাবে লিখেছিলেন , " কাজ না করলে খাবো কি ? "

ধর্মঘট হল খেটে খাওয়া মানুষের শেষ হাতিয়ার । শ্রমিক কি ধর্মঘট সখে করে ? একজন শ্রমিক কত টা শোষিত হলে ধর্মঘট এ সামিল হয় তা নিয়ে বিশেষ আলোচনার দরকার নেই । কিন্তু যদি ধর্মঘট হয় তাহলে খাওয়া প্রকৃত পক্ষে কার বন্ধ হয় , তা নিয়ে ছোট খাটো আলোচনা হতেই পারে ।

শ্রমিকেরা রক্ত জল করে খেটে যদি তার প্রাপ্য অধিকার টুকু না পায় , তাহলে তার একক ভাবে কিছু করার থাকে না। সে দিন আনে দিন খায় আর দিনের পর দিন শোষিত হতে হতে একদিন কারখানার ধুলোয় শ্বাস আটকে মরে পরে থাকে ।

আর মালিক শ্রেণীর খিদে যেন মেটে না । সব সময় তাদের একটাই চিন্তা " আরও কিছু তহবিলে জমা হয়ে থাকা চাই " ।... দিনের পর দিন বারতেই থাকে তাদের মুনাফা । তাদের লস বলে কিছু নেই । লস বলতে তারা বোঝে আগের থেকে কম মুনাফা । তার মানে শোষণ আরও বারাতে হবে ।

শোষণ বারতে বারতে একদিন যদি ধর্মঘট হয় , তাহলে শ্রমিকের কি ? শ্রমিক এমনিতেই রোজ আধপেটা খেয়ে থাকে , একদিন না হয় অনাহারেই থাকলো । কিন্তু একদিন কারখানা বন্ধ মানে ২৪ ঘণ্টার জন্য নো মুনাফা । শ্রমিকের ক্ষতি হয় একদিনের মজুরি ১৫০ টাকা । কিন্তু মালিকের তো পুরো টাই যায় । কোটি কোটি টাকার লস । তাহলে ধর্মঘটে আসল ক্ষতি কার হয় ? মালিকের না শ্রমিকের ?

শ্রমিক তো খাটতে জানে , সে না খেয়ে মরবে না , কিন্তু শ্রমিক না খাটলে মালিক নিশ্চয়ই মরবে ।
আর বুর্জোয়া মাধ্যম লিখে দিল " কাজ না করলে খাবো কি " । ... মানবিকতা বলতে এদের কিছু নেই। এরা সুধু বোঝে শোষণের ভাসা । তাই ছিনিয়ে নিতে চায় খেটে খাওয়া মানুষের শেষ হাতিয়ার টাও ।

কিন্তু শেষ কথা ওরাই বলবে , ইতিহাস ওরাই লিখবে । " সিক্ত যাদের সারা দেহ , মন মাটির মমতা রসে / এ ধরনির তরনির হাল , রবে তাহাদেরি বসে "
 
Read More

National Food Security Act

National Food Security Act / খাদ্য সুরক্ষা যোজনা ইত্যাদি প্রসঙ্গে ।

উৎপাদনের উদ্দেশ্য এখন ব্যবহার নয়, বরং মুনাফা অর্জন। শ্রমজীবী মানুষের অভাব নেই ,কিন্তু সে পরিমানকর্মসংস্থান নেই। বেকার ও সল্প আয়ের জনসমষ্টির ক্রয় ক্ষমতা থাকেনা।তাই ভোগ পণ্যের উৎপাদন শুধু মুনাফা অর্জনকারীদের উপর নির্ভর করে।( এ আ )

পুঁজিবাদের এই চরম রুপ অর্থাৎ " Maximum Profit " বর্তমান সময়ে আমাদের দেশ গুলিতেও অত্যন্ত স্পষ্ট রুপে দেখা দিয়েছে । সর্বোচ্চ মুনাফার জন্য যদি হাজার টন খাদ্য শস্য কে গুদামেও পচাতে হয় তাতে বিন্দু মাত্র আক্ষেপ নেই । তারপর সেই পচা শস্য কে নদীর জলে ভাসিয়ে দেয়াও যাবে । তবু কম মুনাফায় বিক্রয় করা যাবে না । বেকার ও অল্প সঞ্চয়ের সর্বহারা স্শ্রেণী কম উৎপাদন / বেশি চাহিদা অথবা দুর্ভিক্ষের শিকার হয়ে অনাহারে থাকলো না । অনাহারে থাকলো পুঁজিবাদের সেই "Maximum Profit" আদর্শের জন্য । আমাদের এই বিপুল জনতার দেশে এই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ডাকাতি চলছে রমরমিয়ে । তারা চুষছে , আমরা চোষাচ্ছি , আর সরকার কে তারা স্ট্র হিসাবে ব্যবহার করছে চোষার সুবিধার্থে । বরং আমি তো বলি , পেটের দায়ে যারা চুরি ডাকাতি করে তাদের মানসিকতা অতটা নিম্ন মানের হয় না ।

এই সঙ্কটের কারনা হল অনিয়ন্ত্রিত / অপরিমেও হারে বেড়ে ওঠা স্বার্থপরতা । ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যাবসায়ি রাও নিজেরই অজান্তে " Maximum Profit " এর পথ বেছে নিয়েছে । আমি আমার পূর্ববর্তী এক স্ট্যাটাস এ লিখেছিলাম " স্কুল গুলো স্বার্থপর মানুষ তৈরির কারখানায় পরিনত হয়েছে । ওপর কে পদপিষ্ট করে বড়ো হওয়া ছোটো থেকেই আমাদের শেখানো হয়। " আর এই কারনেই শ্রমিক শ্রেণীও নিজের প্প্রফিট কিসে সেটা না বুঝেই মাক্সিমাম প্রফিট এর জন্য কাজ করছে ।

সমাজের প্রতিটা স্তরেই মুনাফার অঙ্ক দেখা হচ্ছে , শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য , রাজনীতি থেকে শুরু করে পাড়ার সরস্বতি পুজা , সব ই হয় " প্রফিট " এর জন্য । আমার বিজ্ঞান সংগঠন করি । মানুষ জিজ্ঞেস করে , এতে তোমার লাভ টা কি ? ।

আমার মনে হয় না এই সিস্টেম এর ওপর দাড়িয়ে খাদ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত কোনও পরিকল্পনা , কোনও আইন না খেতে পাওয়া মানুষ গুলোর খুধা মেটাতে কার্যকর ভুমিকা নিতে পারবে । শেষে এগুলিও ভোটের ক্ষেত্রে মাক্সিমাম প্রফিটের উদ্দেস্যে নেওয়া পরিকল্পয়া হয়ে পড়ে থাকবে । না খেতে পাওয়া মানুষ না খেয়েই পড়ে থাকবে ।
 
Read More

মূল্য বৃদ্ধি

আচ্ছা মুশকিল তো !

আমার আবার টাইম মেন্টেন করার সু অভ্যাস ছোটো থেকে  । বাবা কালকে বলেছিল সকালে আমি থাকব না , বাজার টা করিস । চার বছর আগে আমার অত্যন্ত দুর্নীতির দরুন বাজারের দায়িত্ব থেকে আমাকে বঞ্চিত করা হয় । চার বছর পর একটা অন্য রকম উৎসাহ পাচ্ছিলাম কারন মাসের শেষ , পকেটে টান । এইসময় একটা বুদ্ধিদীপ্ত বাজার আমাকে মালামাল করতে পারে । 
যাই হোক , শেষ যেদিন বাজার করেছিলাম সেদিন ২০০ টাকা নিয়ে করেছিলাম । সকালে বাবা আমাকে ৫০০ দিল । আর আমার মন আনন্দে নেচে উঠলো ।

গেলাম বাজারে , আগে রুই এর পোনা ১২০ টাকা কিলো ছিল , এখন ৪০০ হয় গেছে । চালানি কাতলা ২০০ - ২৫০ ছিল ( আরও কম হতে পারে , মনে নাই ) এখন ৫০০ হয়েছে । ভালো করে বুজলাম বাবা ৫০০ কেন দিছিল । পুই শাঁক দুই টাকা হইলেও দামা দামি করতাম , এখন দশ টাকা কইছে , আমি কইলাম ৩ আটি ২৫ কইরা দাও । বলে কিনা নিতে লাগবে না।

শেষে , নিজের পকেট থেকে ১০০ খসল । বাড়ি তে এসে অর্থ দপ্তরে আমার ক্ষতির ভর্তুকি দাবি করলে দাবি তো মঞ্জুর হলই না , তার উপর তিন রকম মাছ আনতে কে কইছে ? কম্বিনেশন ভালো হয় নাই , পুই শাঁক দিয়া কি কাতল রান্না হয় ? পুরা মাথা নষ্ট ম্যান ।

কানে ধরলাম , আর জীবনে বাজার করবো না... 

আর একটা জিনিস যেটা বুঝতে পারলাম , মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে যত টা রাজনীতি হচ্ছে , সমস্যা টা তার থেকেও অনেক অনেক বড়ো ।খেটে খাওয়া মানুষ দের যার ইনকাম চার বছর আগে ২০০ ছিল , তার কি বেরে ৬০০ হয়েছে ? এই সমস্যার আশু সমাধান না হলে দেশে আগুন জ্বলবে অদুর ভবিষ্যতে ।
 
Read More

কাম , ক্রোধ , লোভ, মদ , মোহো , মাৎসর্য

কাম , ক্রোধ , লোভ, মদ , মোহো , মাৎসর্য এই ষড় রিপু মানুষকে সমস্ত রকম খারাপ ও অনৈতিক কাজ করতে উদবুদ্ধ করে । আর এদের বিরুদ্ধে যে দারায় , আপনাকে এদের প্ররোচনায় পা দিতে বাঁধা দেয় , তা হল আপনার বিবেক । কার্টুন যারা দেখেন তারা জানবেন নিশ্চয়ই , টম এন জেরি তে টম কোনও এক্সট্রিম বাজে কাজ করতে যাওয়ার পূর্বে একজন সদা রঙের পায়রার ন্যায় সাদা পাখা ওয়ালা মাথায় সাদা বৃত্ত পরিহিত বিড়াল টম কে ওই কাজ করতে না বলে , তৎপর একজন লাল , বাঁদুরের পাখা ওয়ালা , মাথায় সিং ওয়ালা একজন সেই কাজ করতে উদবুদ্ধ করে । এখানে ওই লাল বিড়াল হল আপনার ষড়রিপুর প্রতিনিধি । আর সাদা জন হচ্ছে আপনার বিবেকের ।

এই ছয় রিপু একত্রে খুব শক্তিশালী । বিবেক প্রায়শই তাদের সাথে পেড়ে ওঠে না । আপনি যে কোনও খারাপ কাজ ই করতে জান না কেন , আপনার ভেতর থেকে একটা আওয়াজ কিন্তু আসে , যে সেটা করা উচিত না। তৎপর আমরা তা করে ফেলি । এই ক্ষেত্রে ষড়রিপুর সামনে আমাদের বিবেক অসহায় হয়ে পরে ।

আপনি একজন খারাপ মানুষ হবেন , না ভালো মানুষ হনবেন তা নির্ভর করবে আপনি বিবেক আর রিপুর যুদ্ধে কার পাসে থাকছেন , কার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন । সাধারন অবস্থায় ষড়রিপু বিবেকের থেকে শক্তিশালী । আপনি নিরপেক্ষ থাকলেও আপনি খারাপ কাজ বেশি করবেন । আর রিপুর পক্ষে থাকলে তো বড় সর রেপিস্ট হয়ে জাবেন । কিন্তু আপনি যখনি বিবেকের পক্ষে অবস্থান নেবেন , বিবেকের দল ভারি হয়ে যাবে । তখন এই রিপু গুলো আপনাকে আর বিচলিত করতে পারবে না ।

সাধারন ভাবে আমরা এই বিষয় টা বুঝতে পারি না। নিরপেক্ষ থাকি এবং একের পর এক খারাপ কাজ করে যাই । আমাদের বিবেক চিৎকার করতে করতে একদা ঘুমিয়ে জায় , তখন আমাদের মনুষ্যত্ব আমরা হারিয়েফেলি । রিপু গুলো কে বশ করতে হলে নিজের মণকে শান্ত করতে হবে , এবং বিবেক কি বলতে চায় সেটা শোণার চেষ্টা করতে হবে । এম্নিতে ষড়রিপুর চীৎকারের সামনে বিবেকের চীৎকার তেমন সুবিধা করে উঠতে পারে না। আপনি যখনি আপনার বিবেকের আওয়াজ সুনতে পারবেন স্পষ্ট ভাবে , তৎক্ষণাৎ ষড়রিপুর পরাজয় হবে , আর আপনি একজন ভালোমানুষ হওয়ার দিকে এক ধাপ এগিয়ে জাবেন ।
 
Read More

স্বাধীন ভারত

কি দিয়েছে স্বাধীন ভারত আমাদের ? 

১ > অপুষ্টি - সারা বিশ্বের অপুষ্টিতে ভোগা মোট জনসংখ্যার ৪০% বাস করেন ভারতে। শুধু তাই নয় সরকারী প্রকল্প গুলির যথাযথ প্রয়োগের অভাবে বিশ্বের সর্বাধিক কম ওজনের শিশুদের বাসস্থানও ভারত বলে দাবি করেছেন এক বিখ্যাত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।প্রসঙ্গত, এইবছরের ইউনিসেফের রিপোর্ট অনুযায়ী পাঁচ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুর তালিকায় ভারত ৪৯ নম্বরে। যেখানে এই তালিকায় নেপাল ও বাংলাদেশ রয়েছে যথাক্রমে ৫৭ ও ৬০ নম্বরে। 
জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই ভারতে প্রতি ১০০০ জন শিশু পিছু ৩২ জন মারা যায়। যেখানে বাংলাদেশে এই সংখ্যাটা ১০।... ব্রাজিলে ১০।

http://www.bbc.co.uk/bengali/multimedia/2012/08/120811_mb_india_malnutrition.shtml

২ >অশিক্ষা - যে কোনও সমাজের অগ্রগতির মূলে রয়েছে শিক্ষা। শিক্ষার অভাবেই অন্যান্য দেশের তুলনায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে ভারত। এমনই মনে করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন। তাঁর অভিযোগ, স্বাধীনতার পরবর্তী দশকগুলিতে প্রত্যাশিত হারে এদেশে শিক্ষার প্রসার ঘটেনি। বিষয়টি নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি। শিক্ষার প্রসারে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলিকে আরও গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্মত্য সেন।
http://zeenews.india.com/bengali/nation/main-hindrance-to-development-of-india-is-lack-of-education-amartya-sen_10133.html ]

৩ > দারিদ্র - বিশ্ব ব্যাংকের একটি রিপোর্টে দেখা গেছে ভারতের ৩৩ % মানুষ international poverty line এর নিচে বাস করে । যাদের দৈনিক আয় ১.২৫ ইউ এস ডলারের কম । তৎপর দেশের ৬৯ % লোকের আয় দৈনিক ২ ইউ এস ডলারের থেকে কম । 
http://en.wikipedia.org/wiki/Poverty_in_India ]

৪ > অবিচার - পরিসংখ্যান বলে , ২০১১ সালে ভারতে ১৫ , ৪০০ এর অধিক ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ডে আছে । কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ২৭ % কেসে কোনও অভিযুক্ত কে ধরা গেছে । ৭৩ % এর কোনও সুরাহা হয় নি । কেউ ধরাও পরেনি , কোনও বিচার ও হয় নি । 
http://blogs.wsj.com/indiarealtime/2013/01/04/statistics-conviction-rates-for-rape-across-india/ ] 

গল্প এখানেই শেষ হয়নি । প্রতিবাদের গলা বার বার টিপে ধরা হয়েছে । আদিবাসী রা হয়েছে মাওবাদী । কৃষক চাষ করেছে , মহাজন বড়োলোক হয়েছে । অত্যাচার কোথাও কোথাও এতটাই বেশি যে ঘরের মহিলারা রাস্তায় উলঙ্গ হয় হাতে " Indian army please rape us " এর প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদের নেমেছে । এটা মনিপুরের ঘটনা ।
http://www.commondreams.org/headlines04/0719-03.htm ]

এর পরেও যদি ভারত মহান হয় , তবে চুতিয়া কে ?
Read More

দশে মিলে করি কাজ , হারি জিতি নাহি লাজ

গল্প ১ > এক বেসরকারি কারখানার কেরানি , মদন বসাক তার নাম । রোজকার মত সকাল সকাল বউ এর হাতে মাছ ভাত খেয়ে , সাদা জামা পরে লেদারের ব্যাগ টা নিয়ে কাজে এসেছেন । হঠাত তার এক সহকর্মী এবং কারখানার বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনের লিডার মিহির বাবু এসে বলছেন , মদন দা পাশের চটকলে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে কাল রাতে , আমরা সেই কারখানার শ্রমিক দের সাথে আন্দোলনে সামিল হতে যাচ্ছি । তো আপনি আছেন তো ?

মদন বাবু বললেন , " কি জানেন তো মিহির দা , খোঁচা খোঁচা দাঁড়ী নিয়ে খাদি পড়ে ঘাড়ে ঝোলা নিয়ে ঘুরলে আর অফিস কামাই দিলে তো আর আমার সংসার চলবে না । আপনার ভাই সংসার নেই , ভবঘুরে মানুষ আপনি , এইসব কাজ আপনাদের । আমাদের তো **নিজে বাঁচলে বাপের নাম। "

গল্প ২ > এক বেসরকারি কারখানার কেরানি , মদন বসাক তার নাম । রোজকার মত সকাল সকাল বউ এর হাতে মাছ ভাত খেয়ে , সাদা জামা পরে লেদারের ব্যাগ টা নিয়ে কাজে এসেছেন । কারখানার সামনে এসে দখেন গেটে একটা বড় তালা ঝুলছে । সামনে তার সহকর্মী দের মধ্যে বেস একটা হৈচৈ ব্যাপার । মিহির বাবু লাল পতাকা নিয়ে তার সহকর্মী দের সাথে একটা অস্থায়ী শেড তৈরি করছেন । হঠাত মিহিরবাবু ডাক দিয়ে বললেন ," কি মদন দা , আজকে আসছেন তো আমাদের সাথে অবস্থানে ? একটা কিছু সুরাহা হলেও হতে পারে কিন্তু । "

মদন বাবু বলেন , " কি যে বলেন মিহির বাবু , দশের কাজে তো আসতেই হবে । আমি থাকব না এটা কি হতে পারে ? হাজার হোক **দশে মিলে করি কাজ , হারি জিতি নাহি লাজ । "

মোড়াল > ঠ্যালায় পড়লে সব বিড়াল গাছে উঠে । যার নিজে বাঁচলে বাপের নাম ছিল , সে দশে মিলে করি কাজ , হারি জিতি নাহি লাজ হয়ে গেল । কিন্তু ঠ্যালায় না পরা পর্যন্ত আমরা নড়ি না । পাশের গ্রামে ধর্ষণ হলে আমাদের কি ? নিজের গ্রামে ধর্ষণ হলে প্রতীবাদ করব । এভাবে নিজের বাড়িতে অঘটন ঘটার আগে আমরা নড়ি না । আর এই নিস্ক্রিয়তাই সমাজের পতনের মূল কারন হয়ে দারাচ্ছে ।
 
Read More

© 2013 Kousik's Diary , AllRightsReserved.

Designed by Kousik Das